শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট | ০৮:৪৭ পিএম, ২০২২-০১-১৭
কেউ উন্নয়ন করে জনপ্রতিনিধি হয়, কেউ হয় উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে। কারও আশ্বাস আশ্বাসই থেকে যায়, সক্ষমতা না থাকায় উন্নয়ন লুকিয়ে থাকে স্বপ্নের মতো, ভুক্তভোগী হয় জনগণ। আবার কেউ আশ্বাস না দিয়েও করে যান কাজ, ভূমিকা রাখেন উন্নয়নে।
সাতকানিয়ার এক নম্বর চরতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে এমন এক ব্যক্তির হাতে আওয়ামী লীগ সভনেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন যিনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকে উন্নয়ন করেছেন এই ইউনিয়নে।
তার হাত ধরে গৃহহীন শত শত মানুষ পেয়েছে ঘর। নদী ভাঙার আতংকে থাকা মানুষ পেয়েছে বেড়িবাঁধ। শিক্ষার আলো ছড়াতে তিনি অবকাঠামো নির্মাণ করে ভূমিকা রেখেছেন স্কুল-মাদ্রাসা-মক্তবে। গ্রামে গ্রামে শত শত নলকূপ স্থাপন করে তিনি করে দিয়েছেন সুপেয় পানির ব্যবস্থা। যে গ্রামে মসজিদ ছিল না সে গ্রামে নির্মাণ করে দিয়েছেন মসজিদ। যে গ্রামের মানুষের চাহিদা ছিল মাদ্রাসা, সেখানে করে দিয়েছেন মাদ্রাসা।
চরতী ইউনিয়নের ভাঙাচোরা যেসব সড়ক যুগ যুগ ধরে কোনো সংস্কার হয়নি, সেখানে তিনি গড়ে দিয়েছেন পিচঢালা রাস্তা। মাটির সড়কে নির্মাণ করে দিয়েছেন ইটের রাস্তা। ইটের রাস্তায় করে দিয়েছেন পিচঢালা পথ। বিদ্যুৎহীন এলাকায় ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুৎ। সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরে সাংসদ আবু রেজা নদভীর সুপারিশযুক্ত ডিও লেটার নিয়ে চরতী ইউনিয়নের জন্য তিনি এসব উন্নয়ন করেছেন জনপ্রতিনিধি না হয়েও। যার হাতেই এবার তুলে দেওয়া হয়েছে নৌকা প্রতীক।
বলছিলাম চরতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রুহুল্লাহ চৌধুরীর কথা।
সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নের দ্বীপ চরতী গ্রাম। ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ড এটি। তিনদিকেই খড়স্রোতা তা শঙ্খ নদী বেস্টিত গ্রামটির শত বছরের দুঃখ নদী ভাঙন। নদী পাড় হয়ে যেতে হয় বিধায় কোনো সরকারের আমলে এই ওয়ার্ডে কোনো উন্নয়ন হয়নি। শত শত ঘরবাড়ি, মসজিদ, ফসলী গ্রাস করেছে নদী। এই নদী ভাঙন বন্ধে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকারই সন্তান রুহুল্লাহ চৌধুরী।
বেড়িবাঁধ ও ড্রেজিং প্রকল্পের বিষয়ে তিনিই প্রথম সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভীর কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। সংসদে এ নদী ভাঙন নিয়ে যুক্তিসংগত বক্তব্য উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছ থেকে ৫১৪ কোটি টাকার প্রকল্প আনেন সাংসদ নদভী। বর্তমানে বেড়িবাঁধের ফলে দ্বীপ চরতীর মানুষ রেহাই পেতে শুরু করেছে নদী ভাঙন থেকে। ওই এলাকায় নির্মাণ করে দিয়েছেন সাংসদ নদভী পাকা দালানের মসজিদ।
শুধু এই ওয়ার্ডের দুঃখ লাঘবই নয়, সাতকানিয়ার এক নম্বর চরতী ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে গেছে এবাবে রুহুল্লাহ চৌধুরীর ছোঁয়া। যে সড়কে কোনো রাস্তা ছিল না সে সড়ক এখন পিচঢালা পথ। যে এলাকায় ছিল না কোনো মসজিদ, সে এলাকায় তিনি গড়ে দিয়েছেন মসজিদ। সঙ্গে করে দিয়েছেন মাদ্রাসাও। যে গ্রামে ছিল না বিদ্যুৎ। সে গ্রামে ৫০০ পরিবারের মাঝে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বিদ্যুতের। ৫০০ নলকূপের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ইউনিয়নের অসহায় ৩০০ মানুষর জন্য করে দিয়েছেন বাড়ি, যে বাড়িগুলোর পাশে স্থাপন করা হয়েছে দুটি মসজিদ, মাদ্রাসা, নলকূপ। যেটি কাতারপল্লী হিসেবে পরিচিত।
করোনায় অসহায়ের ঘরে গেছে রুহুল্লাহ চৌধুরীর ত্রাণ, নগদ অর্থ। স্বাস্থ্য সচেতনতা নিশ্চিতে মাস্ক বিতরণসহ নানা প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তিনি প্রত্যক্ষভাবে। কোরবানীর সময় তিনি অসহায়ের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন কোরবানীর মাংস। শীতার্থ মানুষের হাতে রুহুল্লাহ দিয়েছেন শীতের পোশাক। অনেক সময় নিজেই অসহায় মানুষের ঘরে গেছেন শীতের কাপড় নিয়ে।
এলাকার যুব সমাজকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে তিনি যুবকদেরও সংগঠিত করেছেন সামাজিক ও খেলাধুলার মাধ্যমে। স্কুল-মাদ্রাসায় খেলাধুলার আয়োজনে তিনি সবসময় দিয়েছেন উৎসাহ, বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগীতার হাত। বিভিন্ন শিক্ষা সেমিনারে গিয়েও শিক্ষার্থীদের মাঝে রেখেছেন নৈতিকতা সমৃদ্ধ বক্তৃতা। সরকারী প্রকল্প নিজে ব্যবস্থা করে এনে নিজেই তদারকি করেছেন গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে।
রামপুর ডিসি সড়কের বণিক পাড়া থেকে সুইপুরা ও দুরদুরী থেকে দক্ষিণ চরতীর ভাঙ্গা সড়ক তিনি করেছেন সংস্কার। তাগাও থেকে উত্তর ব্রাম্মনডাঙা, তুলাতুলী থেকে দক্ষিণ কেশুয়া সড়ক করে দিয়েছেন কার্পেটিং। দ্বীপ চরতী থেকে বৈলতলী সড়কের সংস্কার করেছেন তিনি। ডা. অতুল চন্দ্র দাশ বাড়ী সড়কের উন্নয়নও হয়েছে তার হাত ধরে। এছাড়া দক্ষিণ কেশুয়া আব্দুল্লাহ চৌধুরী সড়কের ডাবল ব্রিক সলিং প্রকল্প তিনি এনেছেন ইউনিয়নের জন্য।
শিক্ষাক্ষেত্রেও রুহুল্লাহ চৌধুরীর রয়েছে অবদান। ব্রাম্মণ ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বীপ চরতী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চরতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণসহ বিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানে নিরলস ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এছাড়া আল হেলাল কলেজ, চরতী মোহাম্মদীয়া (সাঃ) মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন রুহুল্লাহ চৌধুরী।
এ বিষয়ে রুহুল্লাহ চৌধুরী সাতকানিয়া প্রতিদিনকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা গ্রাম হবে শহর। আমি চরতী ইউনিয়নে এই ঘোষণার বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে যে উন্নয়ন আমার হাত দিয়ে হয়েছে এগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করতে আমি এলাকাবাসীর ভোট চাই। আমি অতীতে যেমন কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও আমার উন্নয়ন কাজের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আমি চরতীর প্রতিটি মানুষের আস্থা ও ভালবাসার মাধ্যমে অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাই।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মাঠ গরম রেখেছে চরতী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতকানিয়ায় এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে নিয়ে এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এবং পরিবারের এক ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2022 Satkania Pratidin | Developed By Muktodhara Technology Limited