শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১:০৯ এএম, ২০২০-১২-০২
সাতকানিয়ায় এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে নিয়ে এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এবং পরিবারের এক অংশের দাবী স্বাভাবিক মৃত্যু অন্য অংশ বলছে পরিকল্পিত হত্যা।
পুলিশ বলছে মৃতের শরীরে কোন স্থানে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। তাছাড়া হত্যার কোন লক্ষন পরিলক্ষিত হয়নি। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাতে যে কোন সময় চরতি ইউনিয়নের বায়তুল মোয়াজ্জেম জামে মসজিদের পূর্ব পার্শ্বে এবং গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ৬টার সময় উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কেশুয়া আফতাব চৌধুরী বাড়ি এলাকায় কেশুয়া সড়কের উপর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম মো. ইকবাল হোসেন(২২)। তিনি একই ইউনিয়নের দূরদূরি এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
উল্লেখ্য গত তিন মাস আগে একই কায়দায় সড়কের উপর মৃত ইকবালের মায়ের লাশও পড়ে থাকলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে দাফন করেন। স্থানীয়রা বলেছেন, ইকবালের মা মানসিক রোগী ছিলেন বলে বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে স্বামী আরেক বিয়ে করলে তিনি স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। ফলে দক্ষিণ কেশুয়া মামার বাড়িতে মৃত ইকবালের জন্ম হয়। দীর্ঘদিন ধরে মামা ছগির আহমদের সাথে ইকবাল বসবাস করতেন। এক সময় মায়ের পৈত্রিক ভিটায় ছোট্ট বেড়ার ঘর করে মা-ছেলে বসবাস করতেন। ওই ভিটেয় ইকবালের আরেক মামাও আলাদা ঘর করে বসবাস করেন। মৃত ইকবালের মামা ছগির আহমদের দাবী বলছেন, ইকবাল সব সময় নেশা করতেন। অতিরিক্ত নেশার কারনে তার মৃত্যু হতে পারে।
এলাকাবাসী ও তার চাচা এফাজুল হোসেন জানান, এক সময় ইকবাল নেশা করলেও গত কয়েকমাস ধরে তার মায়ের মৃত্যুর পর থেকে নেশা কিংবা
মদ্যপান ছেড়ে দিয়েছেন। চাচা এফাজুল হোসেন তার ভাতিজাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন। ইকবাল এলাকায় রাজমিস্ত্রির হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।
জানা যায়, গত শনিবার রাতের কোন এক সময় ইকবাল নিজ ঘরে এসে ঘুমান। রাত গভীর হলে এলাকার অনেকে পুরুষালী কন্ঠে আমায় মেরে ফেলছে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুনতে পান। রাত গভীরে এসব চিৎকারে কেউ তেমন গুরুত্ব দেননি। ভোরে সড়কের উপর ইকবালের লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে। স্থানীয়রা অনেকে বলেছেন বেশ কিছু দিন ধরে মামা ছগির আহমদের সাথে ইকবালে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ইকবাল তার মায়ের পৈত্রিক জমিজমা বিক্রির জন্য কাগজ পত্র সংগ্রহ করলে মামা ছগির ইতোমধ্যে কয়েক দফায় তাকে মারতে তাড়া করেন। এলাকাবাসীর ধারনা এ বিরোধের জের থেকে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
চরতি ইউপি চেয়ারম্যান ডা. রেজাউল করিম বলেন, ইকবালের মৃত্যু কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তাকে সূকৌশলে সুক্ষ্ম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে যার মোটিভ আমরা ধরতে পারছি না।
ডেস্ক রিপোর্ট : কেউ উন্নয়ন করে জনপ্রতিনিধি হয়, কেউ হয় উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে। কারও আশ্বাস আশ্বাসই থেকে যায়, সক্ষ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মাঠ গরম রেখেছে চরতী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2022 Satkania Pratidin | Developed By Muktodhara Technology Limited